Published On Apr 23, 2023
ডাকাত সর্দারের গা পুড়ে যাচ্ছে জ্বরে। পানীয় জলের জন্যই তাই কুটির দেখে দাঁড়িয়ে পড়া এই শুনশান প্রান্তরে। সেই ফাঁকে হয়ে যাবে ভাগ-বাটোয়ারাও। জানা গেল, সুদূর বর্ধমান থেকে লুঠ করে আসছেন তাঁরা। গন্তব্য আরও দক্ষিণের রামকেষ্টপুর। যার বর্তমান নাম কাকদ্বীপ রামকৃষ্ণ নগর। লুঠ বণ্টনের সময়ই সোনার অলংকার আর দামি থালা-বাসনের মধ্যেই সাধকের চোখে পড়ল চকচক করতে থাকা পাথরের এক মূর্তি। কালীমূর্তি। দৈর্ঘে মাত্র এক হাত। আগ্রহে এগিয়ে এলেন সেই সাধক। ডাকাত-সর্দার কেষ্ট পাত্রকে জিজ্ঞেস করলেন দেবীকে জল, বাতাসা দিয়েছে কিনা তারা। আর তাতেই শঙ্কা জাগল সর্দারের মনে। তবে কি রুষ্ট হয়েছেন দেবী? অভিশাপেই কি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি? না, আর সময় নষ্ট করা চলে না। কষ্ঠীপাথরের তৈরি সেই মূর্তি সাধকের কাছে রেখেই চলে গেলেন ডাকাতরা। আর গঙ্গা তীরবর্তী ছোট্ট কুটিরে জায়গা হল দেবীর।