Published On Oct 1, 2023
মালচিং পদ্ধতিতে শসা চাষ,বীজ বপন থেকে বেড তৈরি,মাচাঁ তৈরির A to Z তথ্য।
যারা মালচিং ফিল্ম ব্যবহার করে শসা চাষ করে অতিদ্রুত লাভবান হতে চান তাদের জন্য এই ভিডিওটি।
শসা একটি স্বল্প জীবনকালীন উদ্ভিদ। দ্রুত বর্ধনশীল হওয়ায় শসা গাছের পরিচর্যায় অনেক যত্নবান হতে হয়। পরিচর্যায় একটু ব্যতিক্রম হলে গাছ দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। শীতকাল ব্যতিত শসা সারা বছরই শসা চাষ করা যায়। দেখা গেছে, গ্রীষ্মকালে বিশেষ করে ফেব্রুয়ারী, মার্চ ও এপ্রিলে শসা চাষ করতে গিয়ে অনেক কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হোন। তীব্র তাপমাত্রা, ঝড়বৃষ্টি, জাত নির্বাচনে ভুল সিদ্ধান্ত, সঠিক সময়ে সঠিক পরিচর্যা না হওয়ায় ফসল নষ্ট হওয়ার প্রধান কারন। তবে মালচিং পদ্ধতিতে শসা চাষ করলে সাধারণ কিছু পরিচর্যায় শসার ভালো ফলন পাওয়া গেছে। এ পদ্ধতিতে শসা চাষ করলে চারা শসা গাছ দ্রুত বৃদ্ধি হয় এবং ৩৫-৪০ দিনের মধ্য শসা কর্তন শুরু করা যায়
জমি নির্বাচনঃ
দোআশ এবং বেলে দোআশ মাটিতে শসার চাষ ভালো হয়। তবে এটেল দোআশ মাটি ভালোভাবে ঝুরঝুর করতে পারলেও শসা চাষ করা যায়।
জাতঃ এলাকা উপযোগী তাপমাত্রা সহনশীল জাত নির্বাচন করতে হবে।
মালচিং পেপার নির্বাচনঃ ১৬ শতক জমির জন্য ২৫ মাইক্রোন বিশিষ্ট ০.৯ মিটার বাই ৬০০ মিটার।
জমি প্রস্তুতকরণঃ জমি ৫-৬ বার ভালোভাবে চাষ দিয়ে মাটি ঝুরঝুর করে নিতে হবে। ১ম বার ২ টি চাষ দেওয়া আগে সমস্ত জৈব সার এবং বিঘা প্রতি ১ কেজি ট্রাইকোডার্মা জমিতে ছিটিয়ে চাষ দিতে হবে। ৭ দিন পর শেষ চাষের আগে সমস্ত রাসায়নিক সার সমগ্র জমিতে ছিটিয়ে দিতে হবে।
জমির চারদিকে ২ ফুট বরাবর ভালোভাবে নালা তৈরী করতে হবে। নালাবাদে উত্তর দক্ষিন বরাবর ১.৫ ফুট মাপের ৮ ইঞ্চি উচু করে বেড তৈরী করতে হবে। এর পর ২.৫ ফুট বাদ দিয়ে আরেকটি বেড বানাতে হবে। এভাবে সমস্ত জমিতে পূর্ব নিয়মে বেড তৈরী করে যেতে হবে।
মালচিং পেপার বিছানোর নিয়মঃ
বেড বরাবর মালচিং পেপার বিছিয়ে দিতে হবে। মালচিং পেপারের উভয় পাশে পা দিয়ে টেনে মাটি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। ভালভাবে না ঢাকলে বাতাশে বা ঝড় বৃষ্টিতে মালচিং পেপার ছিড়ে যেতে পারে।
মাচাঁ বা বাউনি দেওয়া
শসা দ্রত বর্ধনশীল সবজি হওয়ায় চারা রোপনের ১০-১২ দিনের মধ্য বাউনি দিতে হবে
সারের উপরি প্রয়োগঃ চারা রোপনের ১০ দিন পর বা বীজ বপনের ১৫ দিন পর হতে ৭ দিন অন্তর অন্তর ১০ লিটার পানিতে ৫০ গ্রাম ডিএপি সার মিশ্রিত করে চারার গোড়ায় প্রয়োগ করতে হবে। ৩০ দিন পর ৭ দিন অন্তর অন্তর ১০ কেজি ডিএপি এবং ৫ কেজি এমওপি সার নালার মধ্য সেচ পানির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে।
সেচ প্রয়োগঃ শসার জন্য নিয়মিত সেচ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আবার অতিরিক্ত পানি সহ্য করতে পারে না। চারা রোপনের ৩-৫ দিন পর নালায় সেচ দিতে হবে। মাটির আর্দ্রতা অনুযায়ী ৭ দিন অন্তর অন্তর সেচ দিতে হবে। আবার নালায় ১ ঘন্টা পর অতিরিক্ত পানি বেড় করে দিতে হবে।
রোগবালাই ও পোকামাকড় দমন এফিড, জ্যাসিড, থ্রিপস এবং হোয়াইট ফ্লাই দমনের জন্য চারা রোপনের ১ দিন পূর্বে জমিতে রঙ্গিন ফাঁদ স্থাপন করতে হবে। শসার প্রধান অনিষ্টকারী মাছি পোকা দমনের জন্য ১০ দিন পর কুমড়া জাতীয় সেক্স ফেরোমন ফাঁদ স্থাপন করতে হবে। আবার রোগ ও পোকামাকড়ের লক্ষন অনুযায়ী ম্যানকোজেব এবং ইমিডাক্লোরোপিড গ্রুপের ঔষুধ ৭ দিন পর পর স্প্রে করতে হবে। ফল আসলে ম্যানকোজেব+মেটারোক্সিল এবং সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের ঔষুধ স্প্রে করতে হবে। ফসল কর্তনের ৭ দিন পূর্বে কোন ঔষুধ স্প্রে করা যাবে না।
😊 আধুনিক কৃষির অগ্রযাত্রায় 😊
*আধুনিক পদ্ধতিতে সকল চাষাবাদ এর বিস্তারিত ভিডিও পেতে অবশ্যই আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন,ধন্যবাদ।😊
#কৃষি #শসা #শসা_চাষ #মালচিং_ব্যবহার_করে_শসা_চাষ #বাংলাদেশের_কৃষি #আধুনিক_কৃষি #agriculturevideo #farming #video
Note. Follow our facebook page: https://www.facebook.com/idelfarmerbd...