Chandraketugarh an unsolved mystery । চন্দ্রকেতুগড়ের অজানা রহস্য ও ইতিহাসের খোঁজে ।
Bengali Dreams Bengali Dreams
15.1K subscribers
1,216 views
44

 Published On Premiered Dec 15, 2022

#chandraketugarh #ancienthistory #ancientindia #bengalidreams
#khanarbachan #historyofbengal


চন্দ্রকেতুগড় বাংলার গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রত্নস্থল। পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলায় এবং কলকাতা শহর থেকে ৩৫ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে একদা ভাগীরথী নদীর অন্যতম প্রবাহ পদ্মা নদী (বর্তমানে অবলুপ্ত) ও বিদ্যাধরী নদীর কূল ঘেঁষে এর অবস্থান। এখানকার দেগঙ্গা (এটি দেবগঙ্গা, দ্বীপগঙ্গা বা দীর্ঘগঙ্গা নামের অপভ্রংশ) গ্রামের রাজপথের সমান্তরালে এক প্রবাহিত নদীর (পদ্মা) শুষ্কখাত এখনো দেখা যায়। এই প্রত্নস্থলটি আনুমানিক ৪০০ থেকে ৮০০ খ্রিস্টপূর্বে গড়ে উঠেছিল।

ব্রিটিশ যুগের স্থানীয় অধিবাসীরা বুঝতে পেরেছিলেন যে এই জায়গার একটা প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্ব রয়েছে। ইতিহাসে কোন রাজা মহারাজার আমলের ধ্বংসাবশেষ এটি। তাই স্থানীয় বাসিন্দারা এবং চিকিৎসক ১৯০৬ তারকনাথ ঘোষ এই অঞ্চলের প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্ব বিবেচনা করার আবেদন জানান। অবশ্য তার আগে কেদারনাথ চক্রবর্তী নামে এক লেখক ১৮৭৮ সালে চন্দ্রকেতু নামে একটি উপন্যাস লেখেন। তার পরেই এই জায়গাটি একটু খ্যাতি লাভ করে। এমনকি টলেমির লেখাতেও যে গঙ্গাহৃদয় শহরের উল্লেখ রয়েছে সেটি এটিই বলে মনে করা হয়। এমনকি আইআইটি খড়গপুরের অধ্যাপক জয়সেন এর দাবি গ্রীক দূত মেগাস্থিনিস তার ইন্ডিকায় যাকে স্যান্ড্রোকোটটাস বলে উল্লেখ করেছেন তিনি চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য না হয়ে হয়তো চন্দ্রকেতু হতে পারেন।

তৎকালীন আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া পূর্বাঞ্চলীয় শাখার সুপার মিস্টার লংহার্স্ট এরপরে এই অঞ্চল পরিদর্শন করেন। কিন্তু তিনি এখানকার গুরুত্ব বুঝতে পারেননি। পরবর্তীতে ১৯০৭ সালে এবং ১৯০৯ সালে পুরাতত্ত্ববিদ নৃপেন্দ্রনাথ নাথ বসু এবং প্রত্নতত্ত্ববিদ রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় চন্দ্রকেতু গড়ের গুরুত্ব বুঝতে পারেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য স্বাধীন ভারতবর্ষের কেন্দ্র সরকারের গুরুত্ব বুঝতে পারেনি। স্থানীয় সাংসদ কাকলী ঘোষিত বারংবার সংসদে এই অঞ্চলে খননকার্য চালানোর আবেদন জানালেও তা কোন এক অজানা কারণে থমকে রয়েছে।

১৯৫৭ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশুতোষ সংগ্রহশালের উদ্যোগে খনন কার্য শুরু হয়। ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত কুঞ্জবিহারী গোস্বামীর নেতৃত্বে খনন কার্য চলে। ইতিহাসবিদদের মতে এটি দুর্গনগরীর ধ্বংসাবশেষ। যেখানে প্রাক মৌর্য যুগ থেকে গুপ্ত যুগ পর্যন্ত পাঁচটি পৃথক স্তর পাওয়া যায়।

আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া এই স্থানটিকে বরাহমিদের ডিপি বলে অভিহিত করেছে। মনে করা হয় এখানে খানা ও তার স্বামী মিহিরের বাসস্থান ছিল। এছাড়াও এটি যে বন্দর নগরী হিসেবে ব্যবহৃত হতো তার যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। তার কারণ এখানে এখান থেকে প্রাক ও মৌর্য যুগের সঙ্গে যুগের মুদ্রা ভুরি ভুরি পরিমাণে উদ্ধার হয়েছে এছাড়াও গুপ্ত যুগ পর্যন্ত এখানে মুদ্রা পাওয়া যায়। তবে ইসলামিক আক্রমণের পর অর্থাৎ একাদশ কিংবা দ্বাদশ শতকের পর এখানে আর কোন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন নেই অর্থাৎ আগমনের পর এই নগরী কোন কারণে আগের জৌলুস হারায়। বরাহমিহির ছিলেন রাজা বিক্রমাদিত্যের সভাসদ।

এখানে কিভাবে আসবেন:-
নিকটবর্তী বিমানবন্দর:- কলকাতা

নিকটবর্তী রেলওয়ে স্টেশন:- বেড়াচাঁপা (শিয়ালদা হাসনাবাদ শাখা)

নিকটবর্তী রেলওয়ে স্টেশন:- বারাসাত (শিয়ালদা বনগাঁ শাখা)

বারাসাত চাপাডালি মোড় থেকে বাসে করে বেড়াচাঁপা আসা যায়। বেড়াচাঁপা মোড় থেকে চন্দ্রকেতুগর পায়ে হাটা এক মিনিট।

এছাড়াও বেড়াচাঁপা স্টেশন থেকে টোটো বা রিক্সা করে চন্দ্রকেতুগর আসা যায়।

এছাড়াও বেড়াচাঁপা মোড় থেকে ১০০ টাকা টোটাল রিজাভ করে গড় বা সিংহ দুয়ার এলাকায় আসা যায়।

Chandraketugarh is an archaeological site located in West Bengal, India, and is known for its ancient artifacts and structures dating back to the period between the 1st century BC and the 3rd century AD. The site is associated with the Mauryan and Gupta empires and has revealed insights into ancient Indian civilization and trade. Here are some related tags and topics associated with Chandraketugarh

show more

Share/Embed