Published On Apr 2, 2023
একাত্তরে পাকিস্তানিদের বন্দিশালা বা টর্চার সেল ছিল এখনকার ক্যাডেট কলেজ। আগে এটির নাম ছিল সিলেট রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল। সিলেট অঞ্চল থেকে গ্রেপ্তার হওয়া মুক্তিযোদ্ধা, বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে যাওয়া হতো এখানে। এরপর হত্যা করে লাশ ফেলে দেয়া হতো পাশের পাহাড়ে। নাম না জানা অনেকেরই সমাধি আছে ওই পাহাড়ে। এখানে এখন গড়ে তোলা হয়েছে বধ্যভূমি।
সিলেটের সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি স্বাধীনতার শহীদ স্মৃতি উদ্যান উদ্বোধন করা হলো। দেশ স্বাধীনের ৫২ বছর পর ব্যক্তি উদ্যোগে এ বধ্যভূমিকে সংরক্ষণ করে শহীদ স্মৃতি উদ্যান নির্মাণ করা হয়েছে। কলেজের পেছনে পূর্বদিকের টিলার পাশে মুক্তিকামী বাঙালিদের ধরে নিয়ে পাকহানাদাররা নির্যাতন চালিয়ে হত্যাযজ্ঞ ঘটিয়েছে,ওই জায়গাটিই বধ্যভূমি। প্রাথমিকভাবে ওই বধ্যভূমিতে শহীদ হওয়া ৬৫ জনের নাম পেয়েছে শহীদ স্মৃতি উদ্যান বাস্তবায়ন কমিটি। আরও যারা শহীদ হয়েছেন এমন নাম না জানা শহীদদের নাম খুঁজে বের করার কাজ চলছে। তথ্যের ভিত্তিতে স্মৃতি উদ্যানে ৬৫ জন শহীদের নামফলক বসানো হয়েছে। সিলেট ক্যাডেট কলেজ কর্তৃপক্ষ ২০০৭ সালে পুরো জায়গাটি চিহ্নিত করে। গত বছর এখানে বধ্যভূমি সংরক্ষণের এগিয়ে আসেন কর্নেল আব্দুস সালাম এবং ডা. জিয়াউদ্দিন আহমদ।
সিলেট সেনাবাহিনীর অনুমতি নিয়ে এবং সিলেট এরিয়া কমান্ডের সহযোগিতায় ‘স্মৃতি উদ্যান’ তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়।
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় ১৯৭১ সালের বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও স্মৃতিসৌধ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় জেলার পাঁচটি বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে টেন্ডার আহ্বান করা হয়। একই বছরের ডিসেম্বর মাসে কার্যাদেশ দেওয়া হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে। বর্তমানে শহীদ স্মৃতি উদ্যানের পাশে বধ্যভূমির কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
#একাত্তরে পাকিস্তান
#Travel Bangladesh
#bangladesh
#bangladeshi
#bangladeshiblogger
#beautiful
#naturalbangladesh
#সিলেট
#amazing
#walkbangladesh
#সিলেট
#বধ্যভূমি
#1971
#freedomfighter
#freedomfamily
#১৯৭১ স্মৃতিসৌধ
#১৯৭১ শহীদ স্মৃতি
#ডা. জিয়াউদ্দিন আহমদ
#Bangladesh Memories