সুখী হওয়ার বিজ্ঞানসম্মত বিশ্লেষণ @Speech Center
Speech Center Speech Center
1.28K subscribers
136 views
0

 Published On Jul 9, 2024

খুচরো আনন্দে বাঁচতে শিখুন। ছোট ছোট ঘটনায় খুশি খুঁজে নিন। সবসময় বিশাল প্রত্যাশার চাপে ‘হাতে থাকা আনন্দগুলোকে গলা টিপে মারবেন না। হতেই পারে জীবন নিয়ে অনেক উচ্চাশা আপনার। তার সবকিছু পূরণ হয়নি, হচ্ছে না, বা কখনো হবার উপায় নেই। তাই জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণা জমা হয়েছে মনে। এতে আপনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকবেন।

ছোটবেলায় কতো তুচ্ছ জিনিষে মুগ্ধতা থাকে আমাদের, সেই দিনগুলি মনে করুন। কেনো বড় হতে হতে জীবনটাকে তুমুল একটা প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র বানিয়ে ফেলি আমরা! বড় বড় লক্ষ্য স্থির করে রাখি, সেগুলো পূরণ না হলেই ব্যাস নিজেদের ব্যর্থ বলে মেনে নিই! এই ক্ষতিকর লাইফ স্টাইল পরিহার করুন। আনন্দ কিন্তু সামান্য জিনিষেই বাসা বাঁধে। প্রিয়জ্নদের সাথে একান্তে সময় কাটানো, কারো জন্য কেনা উপহার, কোন অসহায় মানুষের একবেলার খাবারের দায়িত্ব, দূরে কোথাও ঘুরতে বেরিয়ে পড়া, অফিস-ফেরত টং দোকানের চা-আড্ডা, এসব হলো জীবনের আনন্দের উৎস। অফুরান খুশি পাবেন এই জীবনে, যখন বড় বড় স্বপ্নের পিছু না ছুটে জীবনকে এসব ছোট্ট ঘটনায় ভাগ করে দেবেন।
সুখে থাকার জন্য আমাদের দরকার অন্য মানুষ। আমাদের প্রিয়জন-বন্ধু মিলিয়ে চারপাশে সুন্দর একটা ‘সামাজিক সম্পর্কই পারে আপনাকে সুখী করে তুলতে। ।
আমাদের সম্পর্কগুলোর যত্ন নেওয়ার কথা আমরা বেমালুম ভুলে যাই। আমরা মনে করি, একবার সম্পর্ক হয়ে গেলেই তো শেষ, সেই সম্পর্ক এমনি এমনিই সামনে এগোতে থাকবে। আলাদা কোনো মনোযোগ না দিলেও চলবে, যাকে বলে ‘টেকেন ফর গ্রান্টেড’।
গবেষণা বলছে, বেশি আয় হয়তো কারো জীবনযাপন কিংবা স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে পারে কিন্তু এটা কারও জীবনে অতিরিক্ত বেশি সুখ দিতে পারে না। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা একটু বেশি উপার্জন করেন তাদের মধ্যে অহংকার করার এবং স্বার্থপর হওয়ার মানসিকতা দেখা দেয়। অন্যদিকে যাদের আয় তুলনামুলকভাবে কম, তাদের মধ্যে সহমর্মী হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে তাই সুখও বেশি।
ক্যালিফোর্ণিয়া ইউভার্সিটির গবেষণা বলছে, যারা বেশি টাকা উপার্জন করেন, তাদের জীবনে তখন টাকাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। কোনো আয়েই তখন তারা সন্তুষ্ট হতে পারেন না। আরও বেশি পরিমাণ টাকার পেছনে ছোটেন। তাদের জীবনটা আবর্তিত হয় নিজেকে নিয়েই।
অন্যদিকে তুলনামূলকভাবে কম উপার্জনকারীরা অন্যদের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের মধ্যে সুখ খুঁজে নেন। যারা সম্পদশালী তারা তাদের সামাজিক মর্যাদা এবং ব্যক্তিগত সাফল্য নিয়ে খুশি থাকেন।
সম্পদশালীরা একটা অহংকার নিয়ে কম উপার্জনকারদের সাথে মিশেন।

মূল কথা হলো- শুধুমাত্র টাকার পিছনে না ছুটে এবং টক্সিক মানুষকে দূর করে; সঠিক মানুষদের নিজের আশপাশে রাখা এবং সম্পর্ক মজবুত রাখা সামাজিক সুস্থতার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
সুখ কোনও গন্তব্য নয়, এটা একটি যাত্রা, যা আমরা প্রতিদিন অনুভব করতে পারি।
সুখী হওয়ার মূল রহস্য হল- তোমার যা নেই, তা নিয়ে আফসোস না করে, যা আছে, তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকা।.৩টি জিনিস আমাদের সুখ থেকে বাধা দেয়; অতীতে বাস করা এবং অন্যদের পর্যবেক্ষণ করা এবং আগামী দিনের উদ্ধিগ্নতা।
সর্বদা মনে রাখতে হবে, সুখের একটি দরজা বন্ধ হলে আরেকটি খুলে যায়; কিন্তু প্রায়ই আমরা বন্ধ দরজার দিকে তাকিয়ে থাকি, আমাদের জন্য যেটি খোলা হয়েছে তা আমরা দেখতে পাই না।
তাই আনন্দময় মুহুর্তের জন্য অপেক্ষা করবেন না, বর্তমানের প্রতিটি মুহূর্তকে আনন্দময় করে তুলুন।

show more

Share/Embed