Published On Mar 31, 2024
ভাইরাল ডাক্তার মুনিয়া কি অভিনয় করছে? জানা গেল আসল ঘটনা...VIRAL Doctor MUNIA | Apu Saha
বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন নাগরিক টিভি ও এর উপস্থাপককে হুমকি দিয়েছেন 'ভাইরাল ডাক্তার' মুনিয়া। দেশ রূপান্তরের কাছে মুনিয়ার হুমকি সম্বলিত ফোনালাপ হাতে এসেছে। ওই ফোনালাপে মুনিয়া বলেন, আপনারা আমার এক ঘণ্টার ইন্টারভিউ নিয়েছেন, শুধু এতোটুকু ছাড়ছেন কেন? উপস্থাপক সমৃদ্ধি এ সময় বলেন, আমরা ট্রেলার ছেড়েছি, সম্পূর্ণটা ছাড়বো। মুনিয়া এসময় বলেন, আকজতা ঠিক করেননি, আপনাদের দেখে নেব, নাগরিক টিভিকে দেখে নেব।
নাগরিক টিভির ফেসবুক পেইজ থেকে ভাইরাল ডাক্তার মুনিয়ার একটি সাক্ষাৎকারের অংশ ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভিডিওতে দেখা যায় তিনি চিকিৎশাস্ত্রে ব্যবহৃত সাধারণ কিছু শব্দের অর্থও বলতে পারছেন না।
তাকে জিজ্ঞেস করা হয় ওটি মানে কী? তিনি বলেন, ওটি মানে সার্জারি করা, ওটি করা। প্রশ্নকারী আবার বলেন, ওটির একটি অর্থ আছে। এটার পুরো মানেটা কী? তিনি উত্তর দিতে পারেননি।
তাকে জিজ্ঞেস করা হয় আইসিইউ মানে কী, এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বলেন, যেখানে রোগীকে আইসিইউতে মানে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়, অক্সিজেন দেওয়া হয়। তাকে আবার জিজ্ঞেস করা হয় আইসিইউ মানেটা কী, তিনি উত্তর দিতে পারেননি।
একটি রোগীর বিষয়ে কথা বলছিলেন মুনিয়া। উপস্থাপক তাকে জিজ্ঞেস করেন কী হয়েছিল তার? মুনিয়া বলেন, ব্রেন স্টোমাক। উপস্থাপক বুঝতে না পেরে আবার জিজ্ঞেস করেন ব্রেইন টিউমার? মুনিয়া বলেন, না; ব্রেইন স্টোমাক হয়েছে।
গত ডিসেম্বরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে আনসার সদস্যরা মুনিয়া খান রোজা (২৫) নামে এক ভুয়া গাইনি চিকিৎসককে আটক করেন। এরপর তাকে প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। সেখান থেকে ওই তরুণীর ঠাই হয় জেলহাজতে। পরে তিনি জেল থেকে বের হয়ে দাবি করেন তিনি ভুয়া ডাক্তার না।
মুনিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে তিনি ডাক্তার কী না, কেন টিকটক করেন। এর উত্তরে মুনিয়া বলেন , আমি যদি ডাক্তার না হই তাহলে কী আমাকে ঢাকা মেডিকেলে এমনি এমনি পেশেন্ট দেখতে দেয়?
অভিযুক্ত তরুণী ঢাকা মেডিকেল থেকে বেসরকারি হাসপাতালে রোগী ভাগিয়ে নিতেন এবং সুযোগ পেলে চিকিৎসকদের রুমে ঢুকে মোবাইলসহ বিভিন্ন মালামাল চুরি করতেন। এ ছাড়া নীলক্ষেত থেকে অ্যাপ্রোন, আইডি কার্ড এবং মিডফোর্ড থেকে স্টেথোস্কোপ কিনে প্রতারণায় ব্যবহার করতেন এবং নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিতেন।