Published On Dec 9, 2017
ইউনেস্কোর বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি নতুন আশা জাগিয়েছে শীতল পাটি শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের। আর বিশ্ব দরবারে শীতলপাটির সুনাম ছড়িয়ে দিতে পরিকল্পিত উদ্যোগ নেয়ার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এর আগে বাউল গান, জামদানী ও পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পায়।
আবহমান বাংলার চিরায়ত ঐতিহ্যের ধারক শীতল পাটি বাঙালী সংস্কৃতির সাথে জড়িয়ে আছে ওতোপ্রোতভাবে। শিল্পীদের বিশেষ বুনন কৌশল, নানা রং আর বাহারী নকশার শীতল পাটি মুগ্ধ করে সবাইকে।
শীতল পাটির আদি স্থান সিলেটে হলেও এখন দেশের বিভিন্ন স্থানে তৈরি হয়। মূর্তা বা পাটিপাতা থেকে বেতি বের করে তা শুকিয়ে এবং এরপরে ভিজিয়ে শীতল পাটি তৈরির উপযোগী করা হয়।
যান্ত্রিক সভ্যতার চাপে এখন অনেকটাই মুখ থুবড়ে পড়েছে ঐতিহ্যবাহী এই হস্তশিল্প। ক্রেতা স্বল্পতা, প্লাস্টিক পণ্যের সহজলভ্যতা এবং উপযুক্ত পারিশ্রমিক না পাওয়ায় অনেক কারিগর বাধ্য হয়েছেন পেশা ছাড়তে। হাতে গোনা কিছু ব্যক্তি ধরে রেখেছেন এই শিল্পকে।
এমন প্রেক্ষাপটে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় জাদুঘরের প্রচেষ্টায় ৬ নভেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু দ্বীপে ইউনেস্কোর ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ কমিটির ১২তম অধিবেশনে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পায় শীতল পাটি। যা যুগিয়েছে এই শিল্পকে উজ্জীবিত করার খোরাক।
শিল্পীদের ন্যায্য মজুরিসহ নজরদারি বাড়ালে হারিয়ে যেতে বসা এই শিল্প পুনরুজ্জীবিত হবে বলে মনে করেন জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক।
ঐতিহ্যবাহী এই শিল্পের সুদিন ফিরিয়ে আনতে সবাইকে উদ্যোগী হওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
জাতীয় রাজনীতি, অর্থনীতি, খেলাধুলা, ধর্ম, লাইফস্টাইল, বিনোদন, শিক্ষাসহ দেশ বিদেশের সর্বশেষ খবর জানতে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন ইটিভি নিউজ চ্যানেল।