Published On Mar 4, 2020
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে নিরাপত্তাহীনতায় হত্যাকান্ডে নিহত রবিউল মাষ্টারের পরিবার
কুষ্টিয়া ঃ
কুমারখালীতে বহুল আলোচিত ভাতিজা কর্তৃক হত্যাকান্ডে নিহত জগন্নাথপুর ইউনিয়নের মহেন্দ্রপুর সরকারী প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক মুন্সি রবিউল হক মাষ্টারের পরিবার প্রচন্ড নিরাপত্তাহীনতায় দিনাতিপাত করছে বলে জানা গেছে।
নিহত রবিউল হক মাষ্টারের স্ত্রী শামিমা আক্তার লিটা জানান, ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারী রাত ১ টার দিকে গুলির শব্দ শুনে তিনি অসুস্থ অবস্থায় ঘর থেকে বাইরে এসে দেখেন তার স্বামী মাটির উপর পড়ে আছে এবং তার ভাসুর মৃত রেজাউল হকের ছেলে সোহাগ ও বাটিকামারা গ্রামের হাতেম আলীর ছেলে আজাদকে দৌড়ে পালিয়ে যেতে। সেসময় তিনি দিশেহারা হয়ে পড়েন এবং তার চিৎকারে অন্যান্যরা ছুটে এসে রবিউল মাষ্টারকে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত জানায়।
এই হত্যাকান্ডে প্রথমে পুলিশ বাদী হয়ে হত্যা মামলা করে এবং পরবর্তীতে পুলিশ ও র্যাবের প্রচেষ্টায় হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামী সোহাগকে আটক করে এবং জিজ্ঞাসাবাদে সোহাগ হত্যার পরিকল্পনা ও উদ্দেশ্য এবং হত্যা কান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র লুকিয়ে রাখার স্বীকারোক্তি দেয়। সোহাগের স্বীকারোক্তি মোতাবেক র্যাব অভিযান চালিয়ে সোহাগের বাড়ির পাশে ব্র্যাকের আড়ং দুধের মিলের পিছন থেকে পলিথিনের মধ্যে পেঁচিয়ে মাটির নীচে লুকিয়ে রাখা রক্তমাখা হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত আগ্নেয়অস্ত্র উদ্ধার করে।
সেসময় নিহত রবিউল হক মাষ্টারের মা হাওয়া খাতুন ৪ জনকে আসামি করে মামলা করেন। সোহাগ ও আজাদ ছাড়াও এই মামলার আরো দুজন আসামী মহেন্দ্রপুর গ্রামের মজিবরের ছেলে রাজু এবং শিলাইদহের কোমরকান্দি গ্রামের ইয়াকুবের ছেলে কন্টাক্ট কিলার রুবেল। এই মামলার বাদী হাওয়া খাতুন মারা যাবার পর পরবর্তীতে রবিউল হক মাষ্টারের স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা পরিচালনা করেন। লিটা জানান জামিনে মুক্তি পাবার পর সোহাগ বাড়িতে এসেই শুরু করে তাদের উপর নির্যাতন রাতে ঘরে আগুন দেয়া জমি মাপতে গেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা এবং শেষ পর্যন্ত তার দুটি মেয়ের পিছনে লোক লেলিয়ে দেয়ার কারনে ইতিমধ্যে বাধ্য হয়ে বাড়ি ছেড়ে কুমারখালী শহরে এসে ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন।
রবিউল মাষ্টারের স্ত্রী ও তার দুই কন্যা খুবই অসহায় অবস্থায় দিনানিপাত করছেন। তারা এই হত্যা মামলার আসামীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির প্রত্যাশায় রায়ের অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন।